বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এখান থেকে পেছনে ফেরা যাবে না। দেশের বর্তমান সরকারের ১০০ দিনের অর্জন প্রত্যাশা মাফিক হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন ব্যবসা বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক উয়াং সিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি ও বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে দুই দেশই লাভবান হবে। ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কোন্নয়ন হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে কোরিয়ার আরও বেশি বিনিয়োগ করার প্রত্যাশা করেন।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের যুব শ্রেণির মানুষের সংখ্যা বেশি। টেকনলোজিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোরিয়া কাজ করতে চায়। 

এসময় তিনি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বাংলাদেশে দুই একটি সিলেক্টেড খাতে বিনিয়োগ করলেও কোরিয়া ইতোমধ্যে অনেক খাতেই বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আরও বাড়বে।

এমএম/এমএ