ঋণ কেলেঙ্কারি : তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ১০ বছরের সাজা
বিল-ভাউচার টেম্পারিং ও প্রতারণার মাধ্যমে তিন কোটি ৯২ লাখ ১৯ হাজার ১৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ফেসিলিটি স্টাফ মো. সালমান এফ রহমান ওরফে বাবুসহ তিন কর্মকর্তার ১০ বছর থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. শাহজাহান আলী সরকারকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পেনাল কোডের ৪৬৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ কোটি ৯২ লাখ ১৯ হাজার ১৪ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। এ জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হলো। বাজেয়াপ্তকৃত টাকা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ৩৮৬ ধারার ১(ক) উপধারা মোতাবেক আদায়যোগ্য।
অপর আসামি প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ফেসিলিটি স্টাফ মো. সালমান এফ রহমান ওরফে বাবু (পলাতক) ও মো. জুলফিকার আলীকে পেনাল কোডের ৪০৯ ধারায় দোষী সাবাস্ত করায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পেনাল কোডের ৪৬৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। প্রত্যেক আসামির সব সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিল-ভাউচার টেম্পারিং ও প্রতারণার মাধ্যমে তিন কোটি ৯২ লাখ ১৯ হাজার ১৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ মার্চ প্রাইম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান পাটোয়ারী বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপরাধ দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় পরবর্তী সময়ে এর তদন্তভার কমিশনে আসে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আরএম/এমজে