পণ্য কেনার পরও রশিদ না দেওয়ায় সবজির পাইকারি হাট কারওয়ান বাজারের সিন্ডিকেটকে দোষারোপ করেছেন বনানীর সবজি ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আগে ভাঙতে হবে। তাহলেই সবজির দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ের টিম মনিটরিং আসে। মনিটরিং টিমের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুলতানা আক্তার। টিমে ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।

বনানী কাঁচাবাজার পরিদর্শনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই টিম ব্যবসায়ীদের ক্রয় করা পণ্যের রশিদ যাচাই-বাছাই করেন। তবে কিছু কিছু পণ্যের রশিদ না পাওয়ায় কারণ জানতে চান তারা। পণ্য কেনার সময় কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা রশিদ দেয়নি বলে জানান বনানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা। সেই পণ্য পরিমাপের ডিজিটাল পাল্লা ওজন যাচাই-বাছাই করেন।

এক সবজি বিক্রেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিমকে বলেন, আমরা কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনে আনি। তারা আমাদের রশিদ দেয় না। কারওয়ান বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙেন আপনারা। আমাদের কোনো দোষ নেই। আমরা যেখান থেকে পাইকারি সবজি কিনি সেখানের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিমের প্রধান উপ-সচিব সুলতানা আক্তার ব্যবসায়ীকে বলেন, যেখান থেকে পণ্য কিনবেন সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযানের কথা বলবেন। আপনাকে বলতে হবে, আমাদের বাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিম মনিটরিং করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিম বনানী কাঁচাবাজার মনিটরিংয়ের সময় দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসি ১ হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি, সোনালী ২৮০ টাকা কেজি, ডিম ১৬০ টাকা ডজন, আলু ৫৫ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়া প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টানিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

এসআর/এসকেডি