বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহসহ তার পরিবারের ৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা পরিবারের সদস্যরা হলেন, হাসানাত আবদুল্লাহর প্রয়াত স্ত্রী সাহান আরা আবদুল্লাহ, হাসানাতের তিন ছে‌লে- এফবিসিসিআইয়ের সা‌বেক পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, সাদিক আব্দুল্লাহর সহধর্মিণী লিপি আব্দুল্লাহ ও তা‌দের পরিবারের আরেক সদস্য ফি‌রোজা সুলতানা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তার ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের হিসাব স্থগিত থাক‌বে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।

লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহসহ তার পরিবারের ৭ সদস্যের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যে-সব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল- যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ২ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হাসানাত আবদুল্লাহসহ তার পরিবারের সদস্যরা গাঁ ঢাকা দি‌য়ে‌ছেন।

এসআই/পিএইচ