অনুমোদন না থাকায় পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তাদের বিশেষ ছাড় দিতে এবার ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস (স্পোর্টস ড্রিংকস) বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করেছে পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর সঙ্গে আরও ১৫টি পণ্য বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে– প্রিন্টেড সিল্ক শাড়ি, ডিশ ওয়াশার্স, ওয়াশিং মেশিন, কিচেন মেশিনস, কিচেন হুডস, বেড ম্যাট্রেস, স্টেভিয়ল গ্লাইকোসাইডস, কাস্টার্ড পাউডার, ইভাপোরেটেড স্কিম মিল্ক অ্যান্ড ভেজিটেবল ফ্যাট, ইভাপোরেটেড মিল্কস, অ্যালুমিনিয়াম এলয় ফয়েল, উড প্লাস্টিক রিসাইকেল কম্পোজিটস, হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক কুকিং অ্যাপ্লায়েন্স এবং জেল ইন্ক বল পেন অ্যান্ড রিফিলস।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলের ৪০তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১৬টি নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বর্তমানে বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২৯৯টি। নতুন করে ১৬টি পণ্যের গেজেট করা হলে বাধ্যতামূলক মান সনদের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১৫টি।

শিল্প উপদেষ্টা ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আদিলুর রহমান খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে বিএসটিআই কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএসটিআইর মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব এস এম ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইন, কৃষি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ অ্যাটমিক অ্যানার্জি কমিশন, বিসিএসআইআর, ইপিবি এবং এফবিসিসিআই, বিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআইর মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব এস এম ফেরদৌস আলম সভা পরিচালনা করেন।

এর আগে গত মে মাসে অনুমোদন না থাকার অভিযোগে বাজারে বিক্রি হওয়া পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ড্রিংকসগুলো হলো– এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবো। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যের প্রসারে প্রচারণা করেছেন একজন তারকা ক্রিকেটার।

নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জানিয়েছিলেন, পণ্যগুলোর অনুমোদন নেই। ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এগুলো ওষুধ নাকি ড্রিংকস। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ ছিল। বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলা হয়েছিল, যা কোনো কোম্পানি মানেনি বলেও জানান তিনি।

এসআই/এসএসএইচ