সেবার মান উন্নয়ন ও হয়রানি প্রতিরোধে বিভিন্ন কাস্টমস হাউস, ভ্যাট কমিশনারেট এবং অন্যান্য কাস্টমস ও ভ্যাট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ১৪ ধরণের নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) ফারজানা আফরোজ সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ ও সেবাবান্ধব ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরি মাধ্যমে শৃঙ্খলাপূর্ণ, পেশাদারি ও সংস্কারমূলক কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই নির্দেশনা গুলো অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

নির্দেশনাগুলো হলো-

কমিশনার বা মহাপরিচালক তথা দপ্তর প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ে অফিসে আগমন ও উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। পাশাপাশি, বিনা অনুমতিতে কেউ যেন কর্মস্থল ত্যাগ না করে সেটিও নিশ্চিত করবেন।

দপ্তরের সকল সেবার তালিকা (প্রযোজ্য আইন, বিধিমালা, এসআরও, প্রজ্ঞাপন, স্থায়ী আদেশ, বিশেষ আদেশ, অফিস আদেশ, প্রভৃতি হতে উদ্ভূত সিটিজেনস চার্টারে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্ব-স্ব ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে।

সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দপ্তরসমূহে ডি-নথি প্রবর্তন করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবহিত করতে হবে।

কাস্টমস অটোমেটেড সিস্টেম (অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড) এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেম (আইভাস) এর আওতার বাইরে যে সকল সেবা ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে ইনোভেশন কার্যক্রম অটোমেশনের মাধ্যমে প্রদান করা সম্ভব তার একটি তালিকা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এনবিআরে প্রেরণ করতে হবে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে দপ্তর প্রধান দৈনিক রোস্টার ভিত্তিতে ডিউটি অফিসার নিয়োগ করবেন এবং ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব ও কার্যাবলী সুনির্দিষ্ট করে অফিস আদেশ জারি করবেন।

স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা বা সভা অনুষ্ঠানের বিদ্যমান কাঠামো অধিকতর জোরদার করতে হবে। একটি কার্যকর অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন।

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালা, ২০০৯ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর পরিবর্তে বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।

সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ২৪/৭ কার্যক্রম চলমান রয়েছে এমন কাস্টমস হাউসসমূহ ছাড়াও অন্যান্য দপ্তর এবং এলসি স্টেশনে প্রয়োজনের নিরিখে নির্ধারিত সময়ের বাইরেও পণ্য খালাস সেবা জোরদার করতে হবে।

বিমানবন্দরে গমনাগমনকারী যাত্রী বিশেষ করে অভিবাসী কর্মীদের সঙ্গে পেশাদারি ও যাত্রীবান্ধব আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বিদ্যমান ওয়েবসাইট আগামী ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে সরকারি ফরমেটে প্রবর্তন করতে হবে। কোনো দপ্তরের ওয়েবসাইট না থাকলে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সরকারি ফরমেটে তা চালু করতে হবে।

বার্ষিক প্রশিক্ষণ-পঞ্জি প্রণয়ন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য বিভিন্ন কারিগরি, প্রায়োগিক এবং পেশাগত আচরণ ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক ইন-হাউস প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে।

অফিসে মধ্যাহ্ন বিরতির নির্ধারিত সময়সীমা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

প্রতি মাসে অন্তত একবার অধীনস্ত দপ্তরসমূহ পরিদর্শন করবেন ও সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করবেন।

আরএম/এমএসএ