অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজ ও পরিবারের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলিপ) এবং বরগুনা-২ আসনের শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলিপ) ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০২৩-২৪ করবর্ষে তার স্ত্রীর নামে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৮০০ টাকা ও নিজ নামে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৭ টাকাসহ মোট ৮ কোটি ৬২ লাখ ২৮ হাজার ৬৩৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে নগদ ১৮ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার কোটি টাকা। এছাড়া স্ত্রীর নামে একটি এলিয়ন গাড়ি, নিজ নামে ল্যান্ড ক্রুজার, ডাম্পট্রাক, কার ও জাহাজ থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও দেশে-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। 

সাবেক এমপি শওকত রিমনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরিশালের আগরপুর রোড, রুপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়, ঢাকার নলটোনা, বরগুনার পাথরঘাটায় দেড় কোটি টাকার অ-কৃষি জমি, বরগুনার কাঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৬০ কোটি টাকার কৃষি জমি রয়েছে সাবেক এমপি শওকত রিমনের। তার নিজ নামে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো, মাইক্রো বাস, টয়োটা প্রিমিও কারসহ তিনটি গাড়ি; স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ও নগদ বিশ লাখ টাকার গোয়েন্দা তথ্য মিলেছে। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

আরএম/এমজে