নিত্যপণ্যের বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ পদক্ষেপ অচিরেই দৃশ্যমান হবে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে এখনও চাঁদাবাজি হচ্ছে। রাজনৈতিক সরকার এখন ক্ষমতায় নেই। চাঁদাবাজি বন্ধে কতটা কঠোর হবেন? জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজি শুধু অর্থনীতি ও রাজনীতির সিদ্ধান্ত না। সমাজের অনেকগুলোর ভ্যালুর বিষয় রয়েছে। কোনো স্থান কিন্তু শূন্য থাকে না, সেটা কিন্তু পূরণ হয়। যারা চলে গেছে তাদের শূন্যস্থান পূরণ হতে অন্য লোক চলে এসেছে। এগুলো কনট্রোল হতে সময় তো লাগবে, পাশাপাশি সবার সহযোগিতা লাগবে।

কত সময় লাগতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আপনারা টের পাবেন। ব্যবস্থা অবশ্যই নেবো।

ইউএনডিপির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সালেহ উদ্দিন আহমেদ  বলেন, আমাদের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে তারা সাহায্য করতে চায়। যেকোনো কারিগরি সহায়তা তারা করতে চায়। তাদের সেই দক্ষতা আছে।

মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে এর প্রভাব দৃশ্যমান নেই– এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি একটু একটু করে কমছে। আপনারা হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন। সাপ্লাই সচল রাখতে আমরা আরও উদ্যোগ নিচ্ছি। সাপ্লাইয়ে কোনো কমতি হবে না। বাজারজাতকরণের ব্যাপারে আমাদের ভোক্তা অধিকার কাজ করবে।

বাজারে প্রভাব নেই জানালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রভাব দেখতে চাইলে দেখতে পাবেন। হুট করে কমে যাবে না। মূল্যস্ফীতিটা কেন হলো সেটা বুঝতে হবে। তারা প্রচুর টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়ে দিয়েছিল। সেগুলো কমিয়ে আনতে গেলে আরও সময় লাগবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর পরের মাস অগাস্টে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমেছে।

এমএম/এমএ