চট্টগ্রাম বন্দরে অস্বাভাবিক কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পাশাপাশি বিকল্প হিসাবে পানগাঁও কাস্টম হাউসের বন্দর থেকে পণ্য খালাসের বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দেশব্যাপী রেল যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার কারণে ঢাকা আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) ঘোষিত আমদানি কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিতে আনা বন্ধ হয়ে যায়। এনবিআরের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যানুসারে আমদানি করা মোট ১ হাজার ৮৫৬টি কনটেইনার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আটকে আছে।

এসব কারণে বিকল্প ব্যবস্থায় কন্টেনার ছাড়করণের অনুমতি দিয়েছে এনবিআর। এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে রেলযোগে ঢাকা আইসিডি ঘোষিত আমদানি কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা আইসিডিতে আনা বন্ধ হয়ে যায়। তবে জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার অবতরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ সচল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর প্রান্তে বিপুল পরিমাণ ঢাকা আইসিডিগামী কনটেইনার জমে যায়। এই অবস্থায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে আমদানি পণ্য বা কার্গো ঘোষণা সংশোধনের মাধ্যমে ঢাকা আইসিডির পরিবর্তে চট্টগ্রাম বন্দর বা পানগাঁও আইসিটি হতে ডেলিভারি দেওয়ার অনুমতির জন্য অনুরোধ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমদানি করা মোট ১ হাজার ৮৫৬টি কনটেইনার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও পানগাঁও আইসিডি/কাস্টম হাউস এর যেকোনো বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়।

এনবিআর বলছে, এমন সিদ্ধান্তের ফলে চলমান কনটেইনার জট শিগগিরই অনেকটা নিরসন হবে এবং পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং এ থেকে উত্তরণে এ ধরনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ উৎপাদনমুখী শিল্প থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে সাপ্লাই চেইনকে নিরবচ্ছিন্ন রাখা সম্ভব হবে।

আরএম/জেডএস