আগামী সেপ্টেম্বরের আগে সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এক বিবৃতিতে বলা হয়, আবহাওয়া ও সমুদ্র পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে আগস্টের শেষ নাগাদ ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) প্লাগের পুনঃস্থাপন ও পুনঃসংযোগ সম্পন্ন করবে সামিট। এরপর আগামী সেপ্টেম্বরে জাহাজ থেকে জাহাজ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডিটিএম হস্তান্তরে একটি শক্তিশালী ও উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেনের জন্য সামিট ওরিয়েন্টাল ড্রাগন নামে একটি ডাইভিং সাপোর্ট ভেসেলের (ডিএসভি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে; যা ২২ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে মহেশখালীতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সামিটের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) বা এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যালাস্ট ওয়াটার ট্যাংক মেরামতের পর গত ১০ জুলাই সিঙ্গাপুর থেকে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ফিরে আসে।

১১ জুলাই, সাবসি ল্যান্ডিং প্যাডে ডিটিএম প্লাগ দিয়ে এফএসআরইউ মুরিংয়ের প্রস্তুতির সময়, ডিটিএম বয়া মেসেঞ্জার লাইনে একটি অপ্রত্যাশিত জট বাঁধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ দুর্ঘটনার পর সামিট এফএসআরইউ থেকে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এক্সিলারেট এনার্জি দ্বারা পরিচালিত বঙ্গোপসাগরের অন্য এফএসআরইউ ৬০০ এমএমসিএফডি চালু রয়েছে এবং এটিই এখন সর্বমোট সক্ষমতা।

এর ফলে প্রায় ৪০০০ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশের মোট গ্যাস সরবরাহ ৩১০০ এমএমসিএফডি থেকে কমে ২৬০০ এমএমসিএফডিতে নেমে এসেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সামিট ও এর আন্তর্জাতিক অংশীদাররা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মান বজায় রেখে এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানির এফএসআরইউ মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টাইম চার্টারের অধীনে পরিচালিত হয়।

পিএইচ