বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের পদত্যাগ, গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আজও বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে এনবিআর চেয়ারম্যানকে শেখ হাসিনা সরকারের দোসর দাবি করে তার শাস্তির দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আন্দোলনের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন সম্পৃক্ত রয়েছে। আমাদের একটাই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে বরখাস্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। খুনি হাসিনার সরকারের দোসর হয়ে কীভাবে এখনও পদে থাকতে পারেন তিনি। আমরা তাকে চাই না।

এনবিআরের কর্মচারীরা বলেন, চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন লোকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ইচ্ছেমত যাকে-তাকে সামান্য অজুহাতে সিরিয়াল ভঙ্গ করে নিজের পছন্দমতো  প্রমোশন ও বদলি হয়েছে। সময়মতো পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, ডিপিসি করা হচ্ছে না, পদোন্নতির পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না, নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। আমরা যারা এই বৈষম্যের শিকার হয়েছি।

কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

 ১. প্রশাসন ক্যাডার থেকে কোনো কর্মকর্তা প্রেষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পদায়ন করা যাবে না।

২. স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অবিলম্বে পদ থেকে বরখাস্ত করে আয়কর/কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে।

৩. অবিলম্বে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানের দোসর এবং প্রিয়পাত্র প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে।

৪. দুই বছর পরপর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করে আয়কর আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আয়কর আদায়ের স্বার্থে অতীতের মতো রাজস্ব বান্ধব এবং প্রযোজ্যতা সাপেক্ষে বদলি করতে হবে।

৫. অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

৬. সব কর্মচারীদের পদায়ন কর্মচারীদের জন্য প্রণীত জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী করতে হবে।

৭. আয়কর অনুবিভাগের ১০তম-২০তম গ্রেডের সব শূন্য পদে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সব পদ পদোন্নতিযোগ্য হতে হবে, কোনো পদ ব্লক রাখা যাবে না।

৮. কর্মচারীদের নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মচারীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় কোনো সিদ্ধান্ত মানা হবে না।

প্রসঙ্গত, বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে বরখাস্ত ও শাস্তির দাবিতে গত ৬ আগস্ট থেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় শাস্তি দাবি করেছেন কর্মচারীরা।

আরএম/জেডএস