সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী সন্তানদের ব্যক্তিগত ও তাদের মালিকানাধীন সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ফিন্যান্সিয়াল)। একই স‌ঙ্গে তা‌দের হিসাবের সব ধরনের লেনদেনের তথ্য চে‌য়ে‌ছে সংস্থা‌টি।
 
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএফআইইউয়ের পক্ষ থেকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠা‌নো চি‌ঠি‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে আসাদুজ্জামান খাঁন, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান এবং মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাক‌বে। চিঠিতে আসাদুজ্জামান খাঁন ও তার পরিবারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। 

অর্থ পাচার নিরোধসংক্রান্ত ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এ আদেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।

প্রাথমিকভাবে আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে প্রয়োজনে জব্দ রাখার সময় আরও বাড়ানো হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

আসাদুজ্জামান খান বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি নবম জাতীয় সংসদে ঢাকা-১১ থেকে এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

আসাদুজ্জামান খান ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা জেলার তেজগাঁও থানার মনিপুরিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আশরাফ আলী খান একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন আর মাতা আকরামুন নেসা। পরিবারে তিনি দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন। তাদের পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার অন্তর্গত দোহার উপজেলায়। 

আসাদুজ্জামান খান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। খান ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সেক্টর ২-এ যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। 

এসআই/এসকেডি