ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়।

গত জুলাই মাস জুড়েই ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যার প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিয়েই মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ্যের মুখোমুখি ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনে আন্দোলনের প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে। কারণ, সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশাপাশি গত ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারও ১৪ শতাংশের ঘর ছাড়াল। অর্থাৎ নতুন সরকারকে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৬৬ শতাংশ। যা গত জুন মাসে ছিল ৯.৭২ শতাংশ। জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.১০ শতাংশ। যা গত জুন মাসে ছিল ১০.৪২ শতাংশ। এর আগে সর্বশেষ সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের এপ্রিলে ১৪.৩৬ শতাংশ। এরপর আর কখনো খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে ওঠেনি। অন্যদিকে জুলাই মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৬৮ শতাংশ। যা গত জুন মাসে ছিল ৯.১৫ শতাংশ। এর আগে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল সর্বোচ্চ ১১.৯৭ শতাংশ। এরপর গত মাসের মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাল।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা প্রসঙ্গে বলেন, বাড়িয়ে বা কমিয়ে নয় বরং এখন থেকে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তথ্য প্রকাশ করা হবে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তিনি জানান, কয়েকদিনের স্থবিরতার কারণে ভেঙে পড়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল। যার প্রভাবে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। তবে এখন বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমে আসবে।

এসআর/এসএম