বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলেও বাজারে প্রভাব পড়েনি। সবজি, মাছ ও মুরগির গাড়ি কম এলেও স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে বাজারে। রাজধানীর মিরপুরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থিতিশীল সবজির দামের সঙ্গে কমেছে মুরগির দাম। স্থিতিশীল আছে সব ধরনের মাছের দামও।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) মিরপুর-৬ নম্বর কাঁচাবাজার, মাছের ও মুরগির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আর সামনের দিনে দেশের পরিস্থিতির যত উন্নতি হতে ততই পণ্যের দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

দোকানদার শাহ আলম বলেন, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, হাইব্রিড পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, দেশি পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি, চায়না ও দেশি আদা ২৮০ টাকা, চায়না রসুন ২৬৫ টাকা এবং দেশি রসুন ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

সবজির দামের বিষয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মরিচ ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দোকানের বিক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে মুরগির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, যা এ সপ্তাহে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা। সোনালী বা পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা, পাকিস্তান ও দেশি ক্রস ৪০০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা থেকে কমে বর্তমানে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে মুরগির দাম আরও কমবে বলে জানান তিনি।

মাছের দোকানদার সুমন জানান, বেশিরভাগ মাছের দামই স্থিতিশীল আছে। তবে ইলিশসহ কিছু মাছের দাম কমেছে। তিনি বলেন, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নদীর বড় চিংড়ি ১৪শ টাকা কেজি দরে, ছোট চিংড়ি ১২শ এবং একদম ছোটটা হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নদীর বড় বাইম ১২শ টাকা এবং ছোট বাইম হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নদীর বড় আইড় মাছ ১২শ টাকা কেজি, পোয়া মাছ ৫শ টাকা কেজি, নদীর বড় বাইলা ১২শ টাকা এবং ছোট বাইলা ৮শ টাকা কেজি, বড় ইলিশ ১৮শ টাকা এবং ৮শ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসআর/জেডএস