আমদানি-রপ্তানি সহজিকরণ এবং বাণিজ্য ত্বরান্বিত করতে দ্রুত ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)।

সোমবার (১৫ জুলাই) এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বিষয়ক এক কর্মশালায় এই দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় হচ্ছে, ততই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সব অংশীজনের মতামত নিয়ে এই বছরের মধ্যেই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন করবে। এটি বাস্তবায়নের ফলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে।

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমবে, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ আরও উন্নত হবে। যা ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে বেগবান করবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একটি মাত্র প্ল্যাটফর্ম থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবে। এক জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে।

ইতোমধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর ট্রেড পোর্টাল এবং ট্রেড রেজিস্ট্রেশন মডিউল সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মশালায় জানান আয়োজকরা। সি অ্যান্ড এফ এজেন্টদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। অন্যান্য সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের পরিচালক এবিএম শফিকুর রহমান জানান, বিএসডব্লিউ সিস্টেমে আপাতত ১৯টি এজেন্সিকে যুক্ত করা হবে, যারা বিভিন্ন লাইসেন্সিং সেবা দিয়ে থাকে। এরইমধ্যে বিএসডব্লিউ পোর্টাল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক, সাধারণ পরিষদের সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা, সরকারি কর্মকর্তারা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা সহজিকরণ সূচকে উন্নতি করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৫৮৫ কোটি টাকা। দুই দফা মেয়াদ ও ২৪ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ৬০৯ কোটি টাকা করা হয়। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য আমদানি-রপ্তানি আবেদন গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিকারকদের সেবা সহজ করার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে খরচ ও সময় সাশ্রয় এবং পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করা।

এসআই/এমএ