ধূমপানমুক্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ চান ময়মনসিংহ বিভাগের ব্যবসায়ীরা
হোটেল-রেস্তোরাঁয় শিশু-নারী ও বৃদ্ধদের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি পাশের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সেমিনার কক্ষে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত সেমিনারে তারা এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তারা জানান, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন রাখার বিধান বাতিল করতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করতে হবে।
রেস্তোরাঁয় ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান করে দেওয়া হলেও সেখান থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ায় পরোক্ষ ধূমপানের কবলে পড়ছেন অধূমপায়ীরা। ফলে অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) তাহমিনা আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার ফারুখ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস-এর (সিটিএফকে) প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া এতে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন বাতিলের পক্ষে মত দেন ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার হোটেল-রেস্তোরাঁর প্রতিনিধিরা।
কেএ