দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের ৯০% আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে কাস্টমসের মাধ্যমে। বাংলাদেশ এখন সর্বত্র ডিজিটালাইজড হলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনও আমরা ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে রয়ে গেছি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্সের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ডিজিটালাইজিংয়ের কোনও বিকল্প নেই। 

বুধবার (১০ জুলাই) চিটাগং চেম্বার ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের (আইসিসি-বি) উদ্যোগে ডিজিটালাইজিং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চিটাগাং চেম্বার ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস অটোমেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া ৪২ ধাপ থেকে ৭ ধাপে নেমে আসে। কিন্তু পরবর্তী কোনও উদ্যোগ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এখনও আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই পেপারলেস, ক্যাশলেস ও ফেইসলেস সেবা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। আরএমজি সেক্টরের রপ্তানিকারকগণ সঠিক সময়ে ও নিয়ম মেনে পণ্য পাঠানোর পরও বিদেশি অনেক ক্রেতা রপ্তানি মূল্য পরিশোধ না করে পণ্য ছাড় করিয়ে নেয়। এতে করে রপ্তানিকারকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এসব অপ্রত্যাশিত রপ্তানি আয় পরিশোধের জন্য তিনি ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সহায়তা কামনা করেন।

এসময় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের মহাসচিব আতাউর রহমান, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, লুব-রেফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. রাফিউল মনির, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোরশেদুল হক, রেডসী গেটওয়ে টার্মিনালের হেড অব কমার্শিয়াল সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক, এপিএল (বাংলাদেশ) প্রা. লি. এর হেড অব অপারেশন এনামুল হক ও বিএসআরএমের হেড অব কমার্শিয়াল আলী মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন। 

অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, বাফার সহ-সভাপতি খায়রুল আলম (সুজন), ট্রাস্টেড শিপিং লাইন্স লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদ আলম, জিপিএইচ ইস্পাত প্রতিনিধি ওসমান গণি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। 

আইসিসি-বি মহাসচিব আতাউর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের টিকে থাকতে হলে ডিজিটালাইজিংয়ের কোনও বিকল্প নেই। এজন্য আমাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অন্যতম বড় বাধা হচ্ছে সাইবার অপরাধ। এ বিষয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের ট্রেড সাপ্লাই চেইন ফ্যাসিলিটি বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে ডিজিটাল সেন্টার ইনিশিয়েটিভ নেওয়া হচ্ছে আইসিসি পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, প্রতি ৩ জন শ্রমিকের ১ জন আইসিসিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্য। ফলে বিশ্বব্যাপী আইসিসিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের চেইন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আধুনিকায়নে এগিয়ে আসতে হবে।

আরএমএন/পিএইচ