কর্মীদের স্থায়ীকরণ, পোষ্য কোটা চালুসহ ৬টি উৎসাহ বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কর্মীরা। 

সোমবার (৮ জুলাই) ম‌তি‌ঝিল সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কর্মীরা এ আন্দোলন ক‌রেন। কর্মীরা ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিমের কার্যালয়ের সাম‌নে প্রায় ঘণ্টা খানেক অবস্থান নেন।

পরে সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আন্দোলনরত কর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল চেয়ারম্যান ও এমডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের ৪ দফা দাবি পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে- ২০-২৫ বছর ধরে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরিরতদের অবিলম্বে স্থায়ীকরণ, ২০২৩ সালের পরিচালন মুনাফা থেকে ৬টি বোনাস, অবিলম্বে কর্মচারী নিয়োগ করা, পোষ্য কোটা চালু করার দাবি জানান।

সোনালী ব্যাংকের এমডিকে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়, সোনালী ব্যাংক পিএলসি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্বনামধন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক, সরকারের বিভিন্ন, পলিসি এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নে গণমানুষের আস্থার ব্যাংক হিসাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সোনালী ব্যাংক পিএলসি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু অর্জিত হয়েছে তা সুযোগ্য পরিচালনা পর্ষদ, সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছে। ব্যাংকটি ২০২২ সালে ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফার বিপরীতে আমাদেরকে সাড়ে চারটি উৎসাহ বোনাস প্রদান করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ ৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা মুনাফা অর্জিত হয়েছে, তাহলে এ বছর অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করা সত্ত্বেও কেন আমরা ৩টি উৎসাহ বোনাস গ্রহণ করব? অথচ এ মুনাফা অর্জিত হয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা এবং তীক্ষ্ণ মেধাবী নেতৃত্ব তথা সব কর্মকর্তা- কর্মচারীর প্রচেষ্টার ফলে। আমাদের সবার সম্মিলিত এই অর্জন অন্য কারো অযাচিত হস্তক্ষেপে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো এটি কখনো কাম্য নয়।

ঊল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংককর্মীদের বছরে সর্বোচ্চ তিনটি ‘উৎসাহ বোনাস’ দিতে পারবে। এমন শর্ত আরোপ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে ‘উৎসাহ বোনাস’ নামে গাইডলাইন প্রকাশ করে চল‌তি বছ‌রের ফেব্রুয়া‌রি‌তে। নতুন গাইডলাইনে বলা হয়, ‘উৎসাহ বোনাস’ কোনো অধিকার নয়, এটি আর্থিক সুবিধা, যা পর্ষদের বিশেষ বিবেচনায় দেওয়া হয়।

এসআই/এমএ