এসএমই উদ্যোক্তাদের ৫ সেবার সহায়তা দিতে সমঝোতা
এসএমই উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, অর্থায়ন, বাজার সংযোগ ও বাজারজাতকরণ, নতুন উদ্যোক্তাদের পুঁজি সহায়তা এবং ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে নীতি সহায়তা-এই ৫ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং অক্সফাম বাংলাদেশের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুসারে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়ন, ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি, ট্রেড লাইসেন্স, কোম্পানি নিবন্ধন, ভ্যাট নিবন্ধন, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরসহ সংগ্রহের তথ্যসহ বিভিন্ন ব্যবসা সহায়ক সেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু ও সম্প্রসারণে বিভিন্ন বাধা দূর করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংলাপ ও নীতি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা মোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে। এই খাতে ২ কোটির বেশি জনবল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এমএসএমই একটি শ্রমনিবিড় ও স্বল্প পুঁজিনির্ভর খাত। উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এমএসএমই অবদান অনেক। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও সিএমএসএমই খাতের বিকাশ ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, নির্বাচন ইশতেহার ২০২৪, এসডিজি ২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।
এসআই/এসএম