ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ডাল, মসলাসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম জনগণের নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুটিকয়েক কর্পোরেট কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে, এসব পণ্য আমদানিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকদের সমান সুযোগ প্রদানের সুপারিশ করেছেন তারা। এছাড়া আমদানি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের কালোবাজারি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবিও জানান তারা।

শনিবার (২৯ জুন) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত ইসেনশিয়াল ফুড আইটেমস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. গোলাম মাওলা। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এবং বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্যাহ।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, চিনি, মসলাসহ নিত্যপণ্যের কালোবাজারি রোধে এফবিসিসিআই ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছে। ট্যাক্স, ভ্যাট নিয়েও কথা হয়েছে, আশা করি একটি ইতিবাচক ফলাফল আসবে।

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য সকলের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যবসায়ীসহ সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

মুক্ত আলোচনায় বক্তারা নিত্যপণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, মজুত ও সরবরাহ নিয়ে বাস্তবভিত্তিক একটি তথ্য ভান্ডার বা ডাটাবেজ তৈরির প্রস্তাব করেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে টিসিবিকে সরাসরি নিত্যপণ্য আমদানির আহ্বান জানান তারা। 

পাশাপাশি, টিসিবির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বন্ধ চিনিকলগুলো চালুর প্রস্তাব রাখেন বক্তারা। এছাড়া, নিত্যপণ্যের চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদারের পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীরা।

এসআই/এসকেডি