বাজেটে অবৈধ সম্পদের মালিকদের কর ছাড় বাতিলের দাবি
পাচারকারী-অপ্রদর্শিত-অবৈধ সম্পদের মালিকদের বাজেটে কর ছাড় বাতিল এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের জনগণকে রেশনিংসহ সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার।
এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এফ এম নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম হোসন, হযরত বিল্লালসহ অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাতের কারিগর পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবনে স্বস্তির সুবাতাস আনতে পারেনি। এনেছে দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তার শঙ্কা। বাজেটে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত থেকে রক্ষা করতে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখা যায়নি। পোশাক শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের জন্য রেশনিং, আবাসনসহ শ্রমখাতে বাজেটে বরাদ্দের দাবি দীর্ঘদিন থেকে উঠলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার ছাপ নেই।
তারা বলেন, বৈধ ও প্রদর্শিত আয়কারীদের সর্বোচ্চ কর ৩০ শতাংশ, অন্যদিকে অবৈধ-অপ্রদর্শিত সম্পদের মালিকদের কর মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে নিয়মিত বৈধ সৎ করদাতার ওপর চাপ বাড়বে। এই বিশেষ ছাড় ক্ষমতাবান বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠী-প্রতিষ্ঠানকে সরকারের ছত্রছায়ায় রক্ষা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। সরকারের জবাবদিহিতাহীন, অস্বচ্ছ অগণতান্ত্রিক সকল তৎপরতাকে টিকিয়ে রাখতেই দুর্নীতিগ্রস্তদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা বাজেটে আরেকবার সামনে এসেছে।
তারা আরও বলেন, বর্তমান বাজার সিন্ডিকেট দ্বারা লাগামহীনভাবে নিয়ন্ত্রিত। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। পোশাক শ্রমিকরা যে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি পান তা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভারটাইম করেও তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। সুচিকিৎসারও ব্যবস্থা নেই। দেশে কোনও জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নেই। এই পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবন রক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ এখন সময়ের দাবি।
ওএফএ/পিএইচ