শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি
ঘোষিত জাতীয় বাজেটে ৬ কোটি শ্রমিকের জন্য আলাদাভাবে কোনো খাত বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।
শনিবার (২২ জুন) প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
বক্তব্যে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, গত ৫৩ বছরে জাতীয় বাজেটের আর্থিক আকার বর্তমানে ১ হাজার ১৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপিতে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এই হিসেবে মাসিক মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৫১২ টাকা। কিন্তু এই বাজেট শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন বা অগ্রগতি ঘটেনি। ৫৩ বছরের তুলনায় বর্তমানে ব্যাপকভাবে বেড়েছে আয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সম্পদ ও খাদ্য বৈষম্য। শ্রমিক পরিবার জেলখানার কয়েদির চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ জন, ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৯ শত জনে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বছরে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা শ্রমিকদের পকেট থেকে লুটে নিচ্ছে। এদের স্বার্থেই সরকার কালো টাকা (অপ্রর্দশিত আয়) ১৫ শতাংশ কর দিলেই বৈধ বা সাদা টাকা হয়ে যাওয়ার নীতিমালা গ্রহণ করেছে। এর ফলে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর এর মতো দুর্নীতিবাজদের মতো আরও কয়েক হাজার দুর্নীতিবাজ দুর্নীতি করতে আরও বেশি উৎসাহিত হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট থাকলেও আলাদাভাবে শ্রমিকদের জন্য কোনো বাজেট বরাদ্দের খাত নেই। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানে ১৪ লক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাদে শুধু বেতন-ভাতার ব্যয় বরাদ্দ ৮১ হাজার ৫ শত ৮০ কোটি টাকা। কিন্তু বাজেটের এই টাকার অংক অথবা ১০ শতাংশ বরাদ্দ দিলে বাংলাদেশের গার্মেন্টসসহ ৬ কোটি শ্রমিকের স্বল্প মূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে শ্রমজীবী মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তার সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা আক্তার প্রমুখ।
ওএফএ/এমএসএ