আর মাত্র দুদিন পরে ঈদ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) শেষ কর্মদিবস শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। আজকালের মধ্যে বাকিরা ঢাকা ছেড়ে নিজ গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে যাবেন। ফলে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। ফাঁকা ঢাকার বাজারেও চোখ রাঙাচ্ছে সব ধরনের সবজি। বলতে গেলে বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না।

শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। শুধুমাত্র মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা। বাকি সব সবজি ৬০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে প্রতি কেজি কাঁকরুল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৬০, টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বাজার একেবারেই ফাঁকা, ক্রেতা নেই বললেই চলে। তবুও বিক্রেতারা সব ধরনের সবজি অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। বাজারের ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি, বাকি সব সবজি ৬০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। ফাঁকা বাজারে বিক্রেতারা সবজির এমন বাড়তি দামের হাঁকডাক কেন দিচ্ছে, তা বুঝতে পারলাম না। বিক্রি কম সেই হিসেবে তো সবজির দাম তুলনামূলক কম হওয়ার কথা, ঢাকা শহর ছেড়ে অধিকাংশ মানুষ ইতোমধ্যে চলে গেছে, তবুও ফাঁকা বাজারে সবজির অতিরিক্ত বাড়তি দাম।

সবজির দাম বাড়তি বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপার বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, আজ অতিরিক্ত বাড়তি দামে সব ধরনের সবজি কিনে আনতে হয়েছে। যে কারণে খুচরা বাজারে সবজির দাম বেশি। মূলত ঈদের সময় হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি ভর্তি ট্রাক বাজারে কম ঢুকেছে। সরবরাহ কম হওয়ায় দাম আজ বাড়তি। যেহেতু ঈদ করতে বেশিরভাগ মানুষ ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন, তাই বলতে গেলে ঢাকা শহর অনেকটাই ফাঁকা। আজ বাজারে ক্রেতা খুবই কম, তবুও সবজির দাম একটু বাড়তি যাচ্ছে। ঈদের আগে ও পরে কয়েকদিন একটু বাড়তিই বাজার যাবে। 

এএসএস/এমজে