ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যয় বাড়ল ১২.৬৩ শতাংশ
৪-লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশের ৪ বছরের জন্য পারফরমেন্স বেজড অপারেশন ও দৃঢ় করার চুক্তিমূল্যের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় বেড়েছে ১১১ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘৪-লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ)-এর ৪ বছরের জন্য পারফরমেন্স বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
মন্ত্রিসভা কমিটি, নতুন করে ৩৬ কোটি ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল ২৯০ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৫ টাকা। নতুন করে যে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে, তা চুক্তিমূল্যের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘৪-লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ)-এর ৪ বছরের জন্য পারফরমেন্স বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্পের আর একটি প্যাকেজের ভেরিয়েশন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই প্রস্তাবে নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৭৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৬১২ টাকা।
প্রকল্পটির এই প্যাকেজের মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৫৫৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৩ টাকা। নতুন করে যে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে, তা মূল্য চুক্তিমূল্যের ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। আবদুল মোমেন লিমিটেড এবং স্প্রেক্টা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড যৌথভাবে এই কাজ করছে।
বৈঠক অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, ‘সুনামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা- আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
এর মধ্যে একটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৭৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৯১ টাকা। এই প্যাকেজের মূল চুক্তিমূল্য ছিল ১৫১ কোটি ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৬ টাকা। এ হিসাবে প্রকল্পটির এই প্যাকেজে ব্যয় বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এছাড়া সড়কের ফরমেশন লেভেল পরিবর্তন, ইঞ্জিনিয়ার ভবন নির্মাণ স্থলে মাটি ভরাট, পেভমেন্টে ডিজাইন পরিবর্তনের কারণে দৈর্ঘ্য/প্রস্থ বৃদ্ধি, সড়কের ১০টি স্লাব কালভার্ট নির্মাণ কাজে ৭৫০ মিমি ব্যাসের পাইল অন্তর্ভুক্ত, ১০টি আরসিসি স্লাব কালভার্ট অন্তর্ভুক্ত, সড়ক বাধের স্লোপ এরিয়া বৃদ্ধির কারণে এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পটির আর একটি প্যাকেজের ব্যয় ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩২৫ টাকা বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এই প্যাকেজের মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ৬৬২ টাকা। মূল চুক্তিমূল্যের তুলনায় এখন ব্যয় বাড়ল ৪৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
কালভার্ট নির্মাণে পাইল করা, স্ট্যাক ইয়ার্ড ও শেড নির্মাণ, টোল প্লাজা স্থাপন, কালনী সেতুর প্যাকেজ সংশোধন, সাবমার্জিবল ইরিগেশন স্ট্যাকচার নির্মাণ, সড়কের মূল প্রশস্ততা ৫.৫০ মিটার থেকে ৭.৩০ মিটারে উন্নীত, সাইন সিগন্যাল স্থাপনের কারণে এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।
এমএম/এসকেডি