প্রতি মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে বেতন-ভাতা পাস হয় শিক্ষকদের। পাস হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। যদিও সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ইএফটির ( ইলেকট্রিক মানি ট্রান্সফার) মাধ্যমে মাসের প্রথম দিন দিয়ে দেওয়া হয়। এখন থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও মাসের প্রথম দিনই ইএফটির মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে বেতন পাবেন।

গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ এ তথ্য তুলে ধরেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ অনুদানের অর্থ ইএফটি-তে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। এতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া, এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন-ভাতার অর্থ ইএফটি-তে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রথম কর্মদিবসে ঘরে বসে তার ব্যাংক হিসাবে সরাসরি ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাবেন এবং তাদের ভোগান্তি কমবে। 

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় জানান, সরকার পেনশনারদের পেনশন পাওয়া সহজ করতে নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমানে কর্মরত সরকারি কর্মচারী ছাড়াও সকল অবসরভোগী সরকারি কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে মাসের শুরুতেই পেনশন পাচ্ছেন। পেনশনারদের জন্য পাইলট ভিত্তিতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জীবিতাবস্থা যাচাইকরণ (লাইফ ভেরিফিকেশন) চালু করা হয়েছে। অচিরেই সারা দেশে সব পেনশনারকে এ অ্যাপ ব্যবহারের আওতায় আনা হবে। এর ফলে পেনশনাররা বছরে একবার ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পাবেন এবং ঘরে বসেই পেনশন পাবেন।

এনএম/এনএফ