আগামী বছর থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে শিশুদের জন্য যুক্ত হচ্ছে টাইফয়েড ও মশাবাহিত রোগের জন্য নতুন দুই টিকা। টাইফয়েডের জন্য যুক্ত হচ্ছে ‘কনজুগেট ভ্যাকসিন’ ও মশাবাহিত রোগের জন্য ‘জাপানিজ এনকেফাইলাইটিস’ ভ্যাকসিন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, শিশু ও নারীদের বিভিন্ন মারাত্মক সংক্রামক রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে ইপিআই কর্মসূচির আওতায় শিশু, কিশোরী ও নারীদের ১১টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ২০২৫ সালে ইপিআই কর্মসূচিতে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন ও জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভ্যাকসিন সংযোজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকা কর্মসূচিতে সংযোজিত হয়েছে। দেশের সকল ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম-৯ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীদের ক্যাম্পেইন আকারে এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিভাগে ক্যাম্পেইনের ১ম ধাপ সফলভাবে সম্পন্নও হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাস্থ্য সেবা খাতকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রবর্তন করেন। সারাদেশে মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতোমধ্যে ১৪ হাজার ৩১১টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। এ সব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং ২৭ ধরণের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল নিয়ে প্রথম রেজুল্যুশন গ্রহণ করেছে, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট 'কমিউনিটি ক্লিনিক: দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' শীর্ষক রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

টিআই/এসকেডি