নিবন্ধিত সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।

সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশন থেকে পাঠানো সুপারিশে আগামী বাজেটে বিষয়টি বিবেচনার জন্য এ সমর্কিত পর্যবেক্ষণ ও বেশকিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ট্যারিফ কমিশন বলছে, বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) বিভিন্ন বাজেট প্রস্তাবনা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ইএফডি বিষয়ে কমিশনের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি না থাকায় বিক্রয় মূল্যে তারতম্য দেখা দিচ্ছে। নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইএফডি সরবরাহ করা হলে ভ্যাট আদায় বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, নিবন্ধনহীন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাট ব্যতীত পণ্য বিক্রয় করায় স্থানীয় মূল্যে যে পার্থক্য সৃষ্ট হয়, তার সমাধান হবে।

অন্য প্রস্তাবে নিজস্ব প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিশোধন শুরুর আগে অপরিশোধিত সোনায় আকরিকের ওপর আমদানি শুল্ক যৌক্তিক করা ও জুয়েলারি শিল্পে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতিতে আমদানি শুল্ক কমানোর সুপারিশও করেছে ট্যারিফ কমিশন।

চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সারা দেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বাজুস। একই সঙ্গে সোনা পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর অবকাশ চেয়েছিল সংগঠনটি।

ওই সময়ে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, সারা দেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। ব্যবসায় সমতা আসবে।

প্রস্তাবনায় বাজুস অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ ও আংশিক পরিশোধিত সোনার কাস্টমস ডিউটি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়।

এছাড়া, সোনার ওপর ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ, জুয়েলারি সংশ্লিষ্ট কর অব্যাহতি প্রদান এবং অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনার ওপর কাস্টমস ডিউটি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বাজুস।

আরএম/কেএ