আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেটে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। একই সঙ্গে বাজেটে মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায় এই তিনটি বিষয়ে বড় চ্যালেঞ্জের কথাও জানান তিনি।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ান। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাজেট নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আগামী বাজেটে কোন খাতে আপনার বা সরকারের প্রাধান্য থাকছে? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনীতিকে অন ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা। একই সঙ্গে নিত্যপণ্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, এগুলো নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রার মান এটাও যেন সীমার মধ্যে থাকে। সর্বোপরি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন আগামী বাজেটে। একই সঙ্গে সরকার যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল, সেটির একটা রিফ্লেকশন দেখতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক অসুবিধা আছে, সেগুলোতো ওভারকাম করতে হবে। আমরা আশা করব, আস্তে আস্তে এই ইয়েগুলো থাকবে না। মানে নির্বাচনী ইশতেহারে মানুষকে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেটির একটা প্রতিক্রিয়া থাকবে। কিন্তু অনেক বাধা আছে... সেটি অতিক্রম করতে হবে। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর কাজ হচ্ছে।
  
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ওয়াদুদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন যে, দেশে অর্থনীতি দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে। এটা কি আপনি স্বীকার করেন? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝলাম না। বিরুদ্ধে বললেই কি সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল? আসলে তারা তো বিরোধী পক্ষের লোক। কিছুই হয়নি, সব নষ্ট হয়ে গেছে... এগুলো কী?

সরকারবিরোধী কথা বললেই কি কেউ বিরোধী পক্ষ হয়ে যাবে? এ প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, না, তবে তার টোনটা দেখতে হবে। কেউ কিছু বললেই দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে?

বাজেট দিতে গিয়ে কোন কোন জায়গায় চ্যালেঞ্জ আছে বলে আপনি মনে করেন? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জতো অবশ্যই আছে। যেমন, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায়। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি আগে ছিল, এখন আর নেই। আমরা সঠিক ট্র্যাকে আছি। তবে, এখন আমরা ঋণ খেলাপিদের ধরব।

আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কি বাড়ানো হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বাড়ানো হবে, দেখতে পারবেন বলে আশা করছি। এটাতো একটা প্রসেসের মধ্যে আছে। এটাতো বলা যাবে না।

আসছে বাজেট ব্যয় সংকোচনমূলক হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সংকোচনমূলক তো ইতোমধ্যে হয়েছে। ওটা পার হয়ে যাচ্ছি আমরা। সংকোচন থেকে আমরা ফেরত আসব। কীভাবে এক্সপ্যানশন করা যায়, সেটিই চেষ্টা করছি। এই বাজেট থেকেই সেটি চেষ্টা করব।

এমএম/কেএ