বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী মন্তব্য করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, চলমান উপজেলা নির্বাচনের কারণেও জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে। তিনি বলেন, সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন চলছে। এ নির্বাচনে অনেক মানুষের কাছে প্রচুর টাকার সরবরাহ হয়েছে। সংগত কারণে বাজারে যখন টাকার সরবরাহ বা প্রবাহ বেড়ে যায়, তখন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের কারণে মানুষের কাছে অনেক টাকা আছে, এটা নিয়েও অনেকেই ট্রল করবেন। তবে এটা তো‌ সত্যি, নির্বাচনে কিছু লোকের কাছে টাকা আসছে। বাজারে যখন টাকার সরবরাহ বাড়তে থাকে, তখন বাজারে পণ্যের দামে একটু প্রভাব পড়তে থাকে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করব। সেখানে কৃষি, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থাকবে। ঈদের আগে নিত্যপণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে উদ্যোগ নিচ্ছি।

তিনি বলেন, ঈদ বা যেকোনো উপলক্ষ্য এলেই একটি গোষ্ঠী পণ্যের দাম বাড়াতে তৎপর হয়। ঈদকে সামনে রেখে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠবে। তাদের দমন করতে ও নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে, সামনে আরও বাড়ানো হবে।

টিটু বলেন, পণ্যের সরবরাহ ও দাম সহনীয় রাখতে আগামী বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ট্যারিফ যেন যৌক্তিক থাকে এজন্য এনবিআরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া আগামী বাজেটে নিত্যপণ্যের বাজার ঠিক রাখতে বাজেটে যৌক্তিক ট্যারিফ রাখার প্রস্তাব থাকবে। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। যাতে কর আরোপে মূল্যস্ফীতির বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনএম/জেডএস