কর আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ডিজিটালাইজেশন হলেও এর সুফল আদায় করা যাচ্ছে না। কাস্টমস, ভ্যাট, ট্যাক্স ও পেমেন্টে ডিজিটালাইজেশন হলেও খাতগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা নেই। যার কারণে ট্যাক্স লিকেজ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ‘বাংলাদেশ কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন: দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার ফর হায়ার রিসোর্স মবিলাইজেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে প্রতিবেদনটির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিম, সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ বক্তব্য রাখেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্সে প্রচুর ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে কিন্তু তা বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর জালের সম্প্রসারণ হচ্ছে না। কর সংগ্রহে তথ্য প্রযুক্তি বড় একটা হাতিয়ার হতে পারে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে না পারলে দেশ বিপজ্জনক ও বাধ্যতামূলকমূলক পরনির্ভরশীলতার দিকে ধাবিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন করতে এনবিআর নানান উদ্যোগ নিয়েছে, পুরোপুরিভাবে ডিজিটালাইজেশন সম্ভব হলে কন জিডিপি অনুপাত ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।

ডাটাবেজ সফটওয়্যারের ধারাবাহিকতা রাখা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত ইএফডি যন্ত্র বসানোর পরামর্শ দেন মোস্তাফিজুর।

আলোচনায় এনবিআরোর সাবেক সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, অটোমেশন বাস্তবায়ন করতে যে পরিকল্পনা করা দরকার সেটা নেই। কেন আমরা সফল হলাম না, সেটা যাচাই করে দেখেছি? আর একটি বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক কমিটমেন্টের অভাব। 

তিনি বলেন, সিভিল সার্জনে লোকবল নিয়ে প্রযুক্তিগত কাজ করানো যাবে না। সেজন্য দরকার নিজস্ব দক্ষ জনবল। এনবিআর ডিজিটালাইজেশন করতে হলে ব্যবসায়ী মহলে সাপোর্ট ও রাজনৈতিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।

আরএম/এমএ