বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে বের হয়ে আসা উচিত বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট উপলক্ষে সুপারিশমালা উপস্থাপনকালে রিসার্চ ফেলো তৌফিক ইসলাম খান এমন মন্তব্য করেন।

তৌফিক ইসলাম খান তার উপস্থাপনায় বলেন, গত অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থ কিংবা কালো টাকা সাদা করার কথা বলে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে আসা উচিত। এটি কর আহরণের যে নীতিকাঠামো তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যদিও এ বছর ভালো একটি অংক এ খাত থেকে এসেছে। তারপরও আমরা মনে করি এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।

তিনি আরও বলেন, যারা টিআইএন ও বিআইএনের বিপরীতে রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না তাদেরকে বাধ্য করা বা করের আওতায় আনাটা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে বাংলাদেশে কালো টাকা ও অর্থ পাচারের যে সংস্কৃতি রয়েছে, সেখান থেকে বের হয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মোকাবিলার প্রতি মনযোগী হতে হবে।

এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি অর্থ বছরে এ খাত থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। যেটা খুব বড় অংক বলে মনে হয় না। বরং আমরা মনে করি যারা নিয়মিত কর দিচ্ছেন তাদেরকে নিরুৎসাহিত করছে।

এনবিআরের তথ্যানুসারে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সাত হাজার ৪৪৫ জন করদাতা ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা তথাকথিত সাদা করেছেন। এর বিনিময়ে কর এসেছে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা।

চলতি বছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের বিষয়ে বলা হয়েছিল, প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, ব্যক্তি শ্রেণির কর দাতাদের চলতি অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা যেকোনো সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে কর্তৃপক্ষসহ কেই প্রশ্ন করতে পারবে না। একই সময় ব্যক্তি শ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে, ওই বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর দিলে, আয়করসহ কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না।

আরএম/এমএইচএস