অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই। বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারে। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাত আমাদের সাথে থেকে সহায়তা করতে পারে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে আরও আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরও বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। আইবাস ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে বাজেট পাশ হলেও, বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেত। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে। 

আজকের আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসইয়ের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকরা।

এমএম/কেএ