আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জ্বালানি তেলের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় কেবল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা ২৫ পয়সা কমানো হয়েছে। পেট্রোল ও অকটেনের দাম আগের মতোই রয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত নতুন মূল্যের তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা ১ এপ্রিল (সোমবার) থেকে কার্যকর হবে। 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার  ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অকটেন ১২৬ ও পেট্রোলের দাম ১২২ টাকাই রাখা হয়েছে।

এর আগে মার্চ মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা, অকটেনের দাম ১২৬ টাকা ও পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তখন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকার আলোকে গত বছরের ২ অক্টোবর ঘোষিত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য কাঠামো সমন্বয় করা হলো।

জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয়ের পর কোভিড মহামারি-উত্তর সরবরাহ সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্রপথে জ্বালানি পণ্যের প্রিমিয়াম, পরিবহন ভাড়া, বিমা এবং ব্যাংক সুদের হার ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লিখিত সময়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশি মুদ্রা অবমূল্যায়িত হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের (প্রধানত ডিজেল) মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের আমদানি/ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

ওএফএ/এসএম