ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। জমে ওঠেছে ঈদের কেনাকাটা। নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সুতির শাড়ি।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, সুতি, টাঙ্গাইলের শাড়ি, বিভিন্ন প্রিন্টের শাড়ি, সিল্ক, হালকা সিল্ক, কাতান, নকশি শাড়ি, পার্টি ও জামদানি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে সুতি শাড়ির।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৫ রোজার পর থেকে ঈদ কেন্দ্রিক বেচা-কেনা বেড়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে নারীরা এখন শাড়ি বেশি কিনছেন। এসব শাড়ির দাম ৫৫০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।

অন্যদিকে, তরুণীদের পছন্দ সিল্কের শাড়ি। বিশেষ করে শাড়ির আঁচল ও পাড়ে এবার সোনালি জমাট কারুকাজের চাহিদা বেশি।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানের শুরুর দিকে বিক্রি তেমন একটা ছিল না। তবে ১৫ রমজানের পর থেকে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবারও ভালো বিক্রি হয়েছে। আজও বন্ধের দিন হওয়ায় মার্কেটে ক্রেতা বেড়েছে। তবে ঈদ কেন্দ্রিক মূল বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে।

তারা বলছেন, এখন মাসের শেষ সময়। অনেকের বেতনের টাকা শেষ হয়ে গেছে। ১ এপ্রিল নতুন মাসের বেতন-বোনাস পাবেন চাকরিজীবীরা। তখন বিক্রি আরও বাড়বে।

রাজধানীর চাঁদনী চকের মোনালিসা কালেকশনের বিক্রয়কর্মী মতি মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবারের ঈদে সুতি শাড়ি বেশি চলছে। কারণ এখন গরমকাল। গরমকালে সুতি শাড়ি পরতে আরাম। আমাদের এখানে ৫৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকার মধ্যে সুতি শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সুতি শাড়ির পরেই প্রিন্টের এবং টাঙ্গাইলের শাড়ি বেশি চলছে। কম বয়সের মেয়েরা সিল্কের শাড়ি নিচ্ছে। এগুলোর দাম ১ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে।

নাঈম শাড়ির বিক্রয়কর্মী মো. হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানেও সুতির শাড়ি বেশি চলছে। এরপর ভারতীয় কাতান শাড়ি চলছে বেশি।

তিনি বলেন, সুতি ৫০০ থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। আর ভারতীয় কাতান ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ শাড়ি ৪৫ হাজার টাকারও আছে।

কোন ধরনের পোশাকের চাহিদা বেশি? এমন প্রশ্নের জবাবে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী কাজল ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন গরম। এজন্য সুতির শাড়িই বেশি চলছে। তবে অন্যগুলোও বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইলের শাড়ি, বিভিন্ন প্রিন্টের শাড়ি, সিল্ক, হালকা সিল্ক, কাতান, নকশি শাড়ি, পার্টি ও জামদানি শাড়িও বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, এবার কাপড়ের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, গতবারের তুলনায় দাম অনেক বেশি।

নিউ মার্কেটে আসা ক্রেতা আয়শা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিক্রেতারা দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও বছরে দুই ঈদের মধ্যে এই ঈদেইতো কাপড় কেনে মানুষ। এজন্য দাম বেশি হলেও কিনতে হবে।

অন্যদিকে, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে শাড়ির দাম এবার কিছুটা বাড়তি বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী সামাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাছাড়া দেশের চাহিদা অনুযায়ী সবকিছুর দাম বাড়ায় শাড়ির দামও বেড়েছে। এখানে আমাদের হাত নেই।

এসএইচআর/এসকেডি