ঈদ মানেই আনন্দ। আর সে আনন্দ কয়েকগুন বাড়িয়ে তোলে ঈদের কেনাকাটা। জামাকাপড়ের পাশাপাশি গৃহস্থালি পণ্য হিসেবে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এসিও কেনাকাটার লিস্টে রাখেন অনেকেই। তাই মুসলিমদের এ বিশেষ উৎসব উপলক্ষ্যে এসব পণ্যে ছাড় নিয়ে এসেছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের শো-রুম ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষ্যে অনেক ক্রেতাই আসছেন টেলিভিশন বা ফ্রিজ কিনতে। তবে গরমের মৌসুম থাকায় ফ্রিজ এবং এসিতেই চাহিদা বেশি গ্রাহকদের। ফলে এসব পণ্যে ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে কোম্পানিগুলো।

মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোডে অবস্থিত যমুনা ইলেকট্রনিকস শোরুমের সেলস এক্সিকিউটিভ আতিকুল ইসলাম বলেন, মূলত গরমের মৌসুম থাকার ফ্রিজ এবং এসির চাহিদাটাই তুলনামূলক বেশি। তবে ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের প্রতিটি আউটলেটের সব পণ্যেই এখন ১০ শতাংশ ছাড় চলছে। ক্রেতারা এসে তাদের পছন্দমতো পণ্যটি ছাড়ে কিনতে পারবেন।

যমুনায় এখন ছোট আকারের ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে ২৯ হাজার ৮১০ টাকায়, মাঝারি আকারের ফ্রিজ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা ও বড় আকারের ফ্রিজ রকমভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ হাজার থেকে ৫৮ হাজার টাকায়।

অপরদিকে ইনভার্টারসহ দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৩ হাজার টাকায়। আর নন ইনভার্টার এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ হাজার টাকায়। আর একটন এসি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ হাজার টাকায়।

এছাড়া ২৪ ইঞ্চি টেলিভিশন বিক্রি হচ্ছে ১৪ হাজার টাকায়, ৩২ ইঞ্চি টিভি ২৩ হাজার টাকা ও ৫৫ ইঞ্চি টেলিভিশন বিক্রি হচ্ছে ৭৯ থেকে ৯০ হাজার টাকায়।

যমুনার মতো একই অফার দিচ্ছে ওয়ালটনও। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওয়ালটন প্লাজার সেলস এক্সিকিউটিভ লুৎফর রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের ফ্রিজ ও এসিতে ১০ শতাংশ ছাড় চলছে। এছাড়া মিলিয়নিয়ার হওয়ার অফার, এক্সচেঞ্জ অফারও রয়েছে।

ক্রেতাদের সাড়া কেমন পাচ্ছেন? জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ভালোই। তবে আশা করছি রমজানের শেষ কয়েকদিনে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে।

ওয়ালটনে এখন দেড় টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়, এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকায়। এছাড়া মাঝারি আকারের ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে ৬২ হাজার থেকে ৭৯ হাজার টাকা ও বড় আকারের ফ্রি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকায়।

ইলেকট্রনিকস পণ্যের আরেক ব্র্যান্ড শার্পেও (এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স) চলছে ঈদের ছাড়। তবে তাদের নির্দিষ্ট কোনো ছাড় নেই। পণ্যভেদে গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট অফার পাবেন বলে জানান শিয়া মসজিদ সংলগ্ন শার্প শোরুমের সেলস এক্সিকিউটিভ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের সার্বিকভাবে কোনো ছাড় নেই। কিন্তু ঈদ উপলক্ষ্যে পণ্যভেদে গ্রাহকরা ছাড় পাবেন।

শার্পের দেড় টন এসির বর্তমান বিক্রয়মূল্য ১ লাখ ১২ হাজার টাকা, এক টন এসির বিক্রয়মূল্য ৮৩ হাজার টাকা। এছাড়া বড় আকারের ফ্রিজের দাম ২ লাখ, মাঝারি আকারের ফ্রিজের দাম ১ লাখ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও ছোট আকারের ফ্রিজের দাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

তবে ক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে এ ধরনের ছাড় দেওয়ার পরও দামে খুব বেশি তফাত বয়ে আনছে না।

ওয়ালটনে আসা ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় সবকিছুর দামই তো বেড়েছে। কোম্পানি ছাড় দিচ্ছে এটা ভালো, তবে সামগ্রিকভাবে দাম কিছুটা কম থাকলে আরও ভালো হতো।

আরেক ক্রেতা পারভীন আক্তার বলেন, একটা ফ্রিজের দাম এখন ৬০-৭০ হাজার টাকা। যা সাধারণ মানুষের জন্য কেনা বেশ কষ্টসাধ্য। দাম কিছুটা কম থাকলে মানুষ সহজে কিনতে পারতো।

ওএফএ/এমএ