মাছ-মাংস-মুরগি কোনোটাই পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি দামে
প্রয়োজনীয় ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এরমধ্যে রয়েছে পাঙ্গাশ মাছ, গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগিও। তবে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে এ তিনটির কোনোটিই বিক্রি হচ্ছে না।
১৫ মার্চ জারি করা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গরুর মাংসের উৎপাদন খরচ ৫৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। উৎপাদক পর্যায়ে গরুর মাংসের কেজি ৬০৫ টাকা ১৩ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ৬৩১ টাকা ৬৯ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বেশকিছু দোকান ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৭৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
যাত্রাবাড়ী তুষারধারার বিসমিল্লাহ গোস্ত বিতানের মালিক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা। আমাদের খরচ যেরকম পড়ছে বিক্রিও সেভাবে করছি।
যাত্রাবাড়ীর একজন বিক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করেছে তা আমরা জানি না। আর কার সঙ্গে কথা বলে ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করলো? এই টাকায় বিক্রি করলে আমাদের লস হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসা করতে হলে কত জায়গায় আমাদের টাকা দিতে হয়...। এই দামে কীভাবে বিক্রি করবো?
এদিকে, ব্রয়লার মুরগি ১৭৫.৩০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে অন্তত ৩৫ টাকা বেশি দামে।
আরও পড়ুন
কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩১৫-৩২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যাত্রাবাড়ীর মুরগি বিক্রেতা আমিনুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাইকারিভাবে আমাদের বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। দাম বেঁধে দিলে কী হবে? আমরা কি লস দিয়ে বিক্রি করবো? আগে পাইকারিতে দাম কমানো হোক, তারপর খুচরায় এমনিতে কমে আসবে।
অন্যদিকে, পাঙ্গাশ মাছের দাম ১৮০.৭৭ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে বেশি লাভ হবে না তাদের। এজন্যই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে পাঙ্গাশ মাছ।
তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে ডিমের ক্ষেত্রে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি পিচ ডিম খুচরা পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। এক্ষেত্রে প্রতি ডজন ১১০-১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসএইচআর/এসএম