দেশের গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির অনুমোদিত অর্থে এই দুই জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নতিতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এখানকার জনগোষ্ঠীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য ৭.১ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এডিবি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৭৮১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)।

বুধবার (১৩ মার্চ) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এডিবি জানায়, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের ভিত্তিতে, জলবায়ু ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশ চরম আবহাওয়া এবং ধীর গতিতে শুরু হওয়া জলবায়ু ইভেন্টের ক্রমবর্ধমান ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতার সম্মুখীন হচ্ছে। কার্যকরী পদক্ষেপ ব্যবস্থা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তনশীলতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষির জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ হারাতে পারে।

সংস্থাটির সিনিয়র প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তব জানায়, এডিবির এই অর্থে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল সমন্বিত জলসম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অর্জিত সুবিধাগুলো ধরে রাখবে। যা কৃষি উৎপাদন, উন্নত সম্প্রদায়ের অবকাঠামো এবং গ্রামীণ পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এডিবির অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে নারী ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য আয় এবং টেকসই জীবিকা বাড়াবে ও দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য কমাতে সহায়তা করবে।

এডিবি জানায়, তাদের এই অর্থে ৬ লাখেরও বেশি জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে। এছাড়া, জলবায়ু-সহনশীল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন এবং সেচ ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ হ্রাস করবে। এই অর্থে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে।

এসআর/পিএইচ