১৪৫০ টাকার এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ৩১০০ টাকায়
দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে চিনি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আরএম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা এবং নাবিল গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামে এলাচের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এবি ট্রেডার্সকে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয়ের কারণে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসন জানায়, এবি ট্রেডার্সের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ আমদানি করতে ট্যাক্স ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য হিসেবে মিলিয়ে তাদের প্রায় ১ হাজার ৪৫০ টাকা খরচ পড়েছে। কৃষি বিপণন আইনানুযায়ী পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ লাভ করলে দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, প্রতিষ্ঠানটি জনসমক্ষে ঘোষণা দিয়েছে তারা ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে এলাচ বিক্রি করবে। এছাড়া কয়েকদিন আগে এসআলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজার পণ্যটির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রমজানে যেন চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজার দুটিই স্থিতিশীল থাকে সে উদ্দেশ্যে আজ অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চিনি বিক্রয়কারী দুটি প্রতিষ্ঠান আরএম এন্টারপ্রাইজ এবং নাবিল গ্রুপ কারো কাছেই কোনো ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষিত ছিল না। ফলে তারা কত টাকায় কিনছেন বা বিক্রি করছেন তা আমরা জানতে পারছি না। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগে বাজারে চিনির দাম বাড়িয়ে ফেলছে। এজন্য সতর্কতামূলকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৩০ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোর্শেদ কাদের এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম সহায়তা করে।
এমআর/জেডএস