সকল প্রকার সিম সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

দাবির সপক্ষে এমটব জানায়, বর্তমানে ই-সিমসহ সকল সিমের ওপর ২০০ টাকা ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। সিম সরবরাহের ওপর ভ্যাট অপসারণ করা হলে অপারেটরদের জন্য আকর্ষণীয় ও আর্থিকভাবে ফলপ্রদ হবে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে এবং মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্প খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

এ ছাড়া ন্যূনতম কর সমন্বয় ও অসমন্বয়কৃত অঙ্ক জের হিসাবে টানার দাবি জানিয়েছে এমটব। সংগঠনটি বলছে, বর্তমানে কোম্পানিগুলো ব্যবসায় লোকসান করলেও ন্যূনতম কর পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও কর বিধি অনুযায়ী ব্যবসার আয় পূর্ববর্তী বর্ষগুলোতে সংঘটিত লোকসানের সঙ্গে নিষ্পন্নকরণ অনুমোদিত। তবুও কোম্পানিকে ন্যূনতম কর পরিশোধ করতে হচ্ছে।

টেলিকম মেশিনারি, ইক্যুইপমেন্ট ও সফটওয়্যারের জন্য পৃথক এইচএস কোড নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে এমটব। পাশাপাশি সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর মূসক অপসারণ, ইনপুট ভ্যাট রিবেট থেকে ঋণাত্মক তালিকা বাদ দেওয়া, টেলিকম পরিষেবাগুলোতে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) এবং সারচার্জ (এসসি) বাতিল করা, ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং পরিষেবাগুলোতে সারচার্জ অপসারণ, রাউটারের মূল্য প্রথম শিডিউলের অধীনে নির্ণয়কৃত এইচএস কোড অনুসারে নির্ধারণ করা, মোবাইল টেলিফোন বিল থেকে উৎসে কর অব্যাহতি, অবচয় ভাতা সমন্বয়সহ মোট ২১টি বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে এমটব।

এমটবের মহাসচিব লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, মোবাইল শিল্পের অবকাঠামোর ওপর দেশের সার্বিক ডিজিটালাইজেশন প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। এর মাধ্যমেই ব্যাংকিং, মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস, রাইড শেয়ারিং, ই-কমার্স শিক্ষা কিংবা ই-কুরিয়ারসহ সব খাত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধি অন্য সব খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধির নির্ণায়ক।

তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে এ খাতের ওপর প্রযুক্ত বিবিধ কর দেশের অন্যান্য খাতের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মাত্রা যথেষ্ট বেশি। আশা করি বিষয়গুলোকে এনবিআর গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।

এদিকে বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফেকচারিং অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবে কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে উৎসে কর হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ, ন্যূনতম কর ১ শতাংশ করা, আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর আদায় বাদ দেওয়া, মিনারেল ওয়াটার ও ড্রিংকিং ওয়াটারের জন্য আলাদা এইচএস কোড প্রণয়ন ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে।

আরএম/এসএসএইচ