৪০ টাকার নিচে সবজি মিলছে না বাজারে
দেশব্যাপী চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও রাজধানীর বাজারগুলোয় ঘাটতি নেই সবজির। কিন্তু কোনো সবজিই ৪০ টাকার নিচে মিলছে না। অথচ এক সপ্তাহ আগেও সবজির দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের মধ্যে ছিল। কী কারণে সবজির দাম প্রতিদিন বাড়ছে তার সঠিক ব্যাখ্যাও দিতে পারছেন না বিক্রেতারাও।
রাজধানীর কাঁঠাল বাগান বাজারের সামনে বসে লেবু বিক্রি করছিলেন হালিমা বেগম। রমজানের শুরু থেকে লেবু বিক্রি করছেন তিনি। পাঁচ সদস্যের পরিবার চালাতে হিমশিম খাওয়া হালিমা বাসাবাড়িতে কাজ করার ফাঁকে লেবু বিক্রি করেন। সেখানে হামিলার সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের।
বিজ্ঞাপন
হালিমা বলেন, ‘করোনার লাইগা কিছু বাসায় কামে না করছে। যে কয়টা কাম করি তা দিয়াতো সংসার চলে না। জিনিসপত্রের মেলা দাম, তাই কয়টা লেবু বিক্রি কইরা বাজার করি। কমে দামে কিচ্ছু পাওয়া যায়নাগো মামা, এক কেজি আলু সাতাইশ টেহা।’
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর কাঁঠাল বাগান ও কলাবাগানের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা, একমাত্র পেঁপে, টমেটো আর গাজর ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে। কিছু সবজি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি আলু ২৫-২৭ টাকা, টমেটো ৪০, করলা ৬০-৬৫, পটল ৫০, লাউ ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০, গাজর ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০, লেবু হালিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০, কচুর লতি ৭০, শসা ৫০, বরবটি ৮০, কাঁকরোল ১৪০, বেগুন প্রতিকেজি ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁঠাল বাগান বাজারে ক্রেতারা বলেন, রোজার দিন মানুষ শরীর সুস্থ রাখার জন্য সবজি খায়। কিন্তু এবার সেটাও মনে হয় পারা যাবে না। সব সবজির দাম আজ একরমক তো কাল আরেক রকম। যত বিপদ আমাদের সাধারণ মানুষের।
সবজির বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তি দেখা দিলেও মুরগির দামে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা করে কমছে। রোজা শুরুর আগে যে মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ (প্রতি কেজি) টাকা ছিল।এখন সেটা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০, আটাশ ৫১-৫২, মিনিকেট ৬৩-৬৫ , নাজির শাইল প্রতিকেজি ৬৭-৬৮ টাকায়।
চালের দাম কমার সম্ভাবনা আছে কি-না জানতে চাইলে সুমন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, নতুন চাল বাজারে আসতে আর বেশি দিন লাগবে না। বাজারে নতুন চাল আসলে দাম কমে যাবে।
এনআই/এসকেডি