অবিতর্কিত বকেয়া পরিশোধ ও বিতর্কিত বকেয়ার মামলা বিকল্প নিষ্পত্তির মাধ্যমে নিষ্পন্ন করে রাজস্ব আদায়ে ব্যবসায়ীদের কাছে সর্বাত্মক সহায়তা চাইলেন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এনবিআর) কর কমিশনার মো. ইকবাল। 

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সেরা করদাতাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।

এ সময় এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ প্রধান অতিথি এবং কর কমিশনার মো. ইকবাল বাহার সভাপতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।

ইকবাল বাহার বলেন, ‘যত বেশি আয়, তত বেশি কর’ এই নীতিতে আয়কর একদিকে উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন করছে, অন্যদিকে সমাজের আয় ও সম্পদ বৈষম্য নিরসন করে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য ভূমিকা রাখছে। তাই আমাদের মোট রাজস্বে আয়করে হিস্যা বাড়াতে হবে, এর বিকল্প নেই। এটা ৫০ থেকে ৬০ ভাগে উন্নীত করতে হবে।

সম্মানজনক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের সহায়তা চেয়ে কর কমিশনার বলেন, ব্যবসায়ীদের অবিতর্কিত বকেয়া পরিশোধ ও বিতর্কিত বকেয়া এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করতে এলটিইউয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। গত অর্থবছরে শুধু জুন মাসে এডিআরের মাধ্যমেই ৯১৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে। এ ছাড়া, উৎসে কর কাটার বিধান ও পিএসআর সঠিকভাবে পরিপালন হচ্ছে কি না তা নজরে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আয়কর অনুবিভাগে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের হিস্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এটা সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে। এর প্রতিফলন জাতীয় পর্যায়েও দেখতে পারছি। জাতীয় পর্যায়ে ট্যাক্স কার্ডেও এলটিইউ থেকে এ বছর ৩৭ জনের নাম রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি বৃহৎ করদাতা ইউনিট থেকে পুরস্কার প্রদানের ইতিহাস খুব পুরাতন নয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ কর বছরে সেরা করদাতাদের পুরস্কার প্রদান করেছি।

অনুষ্ঠানে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে ১৪ ক্যাটাগরিতে ৫৪ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সম্মাননা দেয় এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)।

আরএম/কেএ