সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে উৎসে কর কাটছে ব্যাংক। কিন্তু করের সার্টিফিকেট দিতে বিনিয়োগকারীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আবার সনদ দিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে চার্জ। মোবাইল নম্বর, ব্যাংক হিসাব সংশোধন বা পরিবর্তনে বিলম্ব করছে ব্যাংকগুলো। এছাড়া, পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই সঞ্চয়পত্রে হয়রানি বন্ধ ও সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ না নেওয়ার নির্দেশ নিদেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত শরীয়াহভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংক ছাড়া অন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২০ জুলাই জারি করা সার্কুলারে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতাধীন ইনট্রুমেন্টগুলো (সঞ্চয়পত্র ও সঞ্চয়বন্ড) বিক্রিকালে এবং বিক্রি পরবর্তী অন্যান্য সেবা প্রদানের বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। 

সঞ্চয় স্কিমের অর্জিত মুনাফা হতে উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরকে হয়রানি, উৎসে কর কর্তনের সনদপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নিকট হতে চার্জ গ্রহণ, সঞ্চয়পত্র ইস্যু পরবর্তী সেবা (যেমন: বিনিয়োগকারীর মোবাইল নম্বর সংশোধন ও পরিবর্তন, ব্যাংক হিসাব সংশোধন, ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র ইস্যু, উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট প্রদান ইত্যাদি) প্রদানের ক্ষেত্রে বিলম্ব করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। 

এছাড়া, পেনশনার সঞ্চয়পত্রের বিধিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যক্তির নিকট সঞ্চয়পত্র বিক্রয় না করা এবং অনুপযুক্ত ব্যক্তির নিকট সঞ্চয়পত্র বিক্রয় করার অভিযোগ এসেছে।

এমন পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্র ইস্যু পরবর্তী বিভিন্ন সেবা দিতে অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর মোবাইল নম্বর সংশোধন ও পরিবর্তন, ব্যাংক হিসাব সংশোধন, ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র ইস্যু, উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট দিতে বলা হয়েছে। 

এক্ষেত্রে ২০২২ এর ২০ জুলাই জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ, কোনো চার্জ ছাড়াই বিনিয়োগকারীদেরকে সঞ্চয় স্কিমের অর্জিত মুনাফা হতে উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট দ্রুততম সময়ে প্রদান করতে হবে। এছাড়া, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ইস্যু করার ক্ষেত্রে পেনশনার সঞ্চয়পত্র নীতিমালা, ২০০৪ (সংশোধিত-২০১৫) এবং ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর জারি করা নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এসআই/কেএ