বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার আনছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা এ অলংকার বেশিরভাগই বিক্রি করে দিচ্ছেন যা  ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  

সংগঠনটির দাবি— ব্যাগেজ রুলের এ অপব্যবহারের কারণে দেশের জুয়েলারি শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। স্থানীয় কারিগররা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্তে ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এমন অবস্থায় দেশে ডলার সংকটের এই সময়ে বিনা শুল্কে সোনার অলংকার আনার ক্ষেত্রে সরকারির কড়া নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছে বাজুস।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিংকমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোরসমেন্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।

বাজুসের সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোরসমেন্টের চেয়ারম্যান রিপনুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোরসমেন্টের  ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল উদ্দিন, কমিটির সদস্য শাওন সাহা, মো. দিদারুল আলম প্রমুখ।
 
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুয়েলারি শিল্পের ঐতিহ্য, ব্যবসায়ীক সুনাম ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত ২৪ জুন অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৩ প্রণয়ন করেছে বাজুস। এতে ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা সোনা ও অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজুসের নির্দেশনা হলো— বিক্রেতার পাসপোর্টের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।  

বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে। প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে সোনা ক্রয় করতে হবে। এয়ারপোর্টে ডিক্লেয়ারেশন বা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স প্রদানের ডকুমেন্ট (মূল কপি) সংরক্ষণ করতে হবে।

এসআই//এমএ