জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ৪৬ গ্রাহকের তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মিডল্যান্ড ব্যাংকের এক শাখা ব্যবস্থাপকসহ ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে।

মামলার আসামিরা হলেন, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেডের নরসিংদী শাখার ব্যবস্থাপক ও এভিপি মো. ফারুক উর রহমান, সাবেক অফিসার মো. মোকছেদুল হোসেন, সার্ভিস অ্যাসোসিয়েট ও সিএসও শাহরিন আহমেদ উর্মি, জুনিয়র অফিসার মো. হাসানুজ্জামান, এসই ও সিএসএম এস.এম লুৎফুল কবির, ইও ও সিএসএম রাজীব আহমেদ ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েট সনেট কুমার দাস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নরসিংদী শাখার ৪৬ জন হিসাবধারীর মধ্যে ১৯ জন গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯টি এসওডি ঋণ হিসাব তৈরি, অবশিষ্ট হিসাবসমূহের গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে নতুন হিসাব খোলা, চেকের পাতা চুরি করে স্বাক্ষর জাল করে আরটিজিএস, বিইএফটিএন, বেএসটিসিএস ও নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে অর্থ গ্রাহককে প্রদান না করে অর্থ আত্মসাৎ করেন আসামিরা। এভাবে প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪৬টি হিসাব থেকে বিভিন্ন সময়ে ৩ কোটি ৭ লাখ ৩২ হাজার ৩২৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে আসামিরা ধাপে ধাপে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিডল্যান্ড ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (জনসংযোগ) রাশেদুল আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যাংকের ইন্টারনাল অডিটে বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে। এরপর বোর্ডের সিদ্ধান্তে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি পুরো ঘটনা উদঘাটন করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বিষয়টি দুদকের আওতায় তদন্ত শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ মামলা দায়ের হলো। 

তিনি বলেন, আমাদের কাছে গ্রাহকের স্বার্থ সবার আগে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আমরা গ্রাহকের সব টাকা ফেরত দিয়েছি। অর্থাৎ ব্যাংক সকল দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এখন আইন অনুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।

আরএম/এসকেডি