অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেছেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও আর্থিক নীতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে আমরা আশাবাদী মুদ্রাস্ফীতি আরও কমে যাবে। আগামী অর্থবছরের মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে মনে করি।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবন মাল্টিপারপাস হলে জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভ্যাটনীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

অর্থ সচিব বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও আর্থিক নীতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে আমরা আশাবাদী মুদ্রাস্ফীতি আরও কমে যাবে। চলতি বছর বাজেট সংকোচন করে রাখা হয়েছে। আগামী বছর তো সংকোচন করে রাখা হবে না। আগামী অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। তখন তো আবার ব্যয় বাড়াতে হবে। আমাদের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাইলে প্রচুর খরচ করতে হবে। যার জোগান দেবে এনবিআর।

অন্যদিকে এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম বলেন, সাধারণত দেশের রাজস্ব আদায়ের বড় খাত হয়ে থাকে বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কর অনুপাত যাচাই করলেও দেখা যায়, সেখানে বেশি কর আসে বড় বড় শিল্পগোষ্ঠীর কাছ থেকে। ব্যক্তি কেন্দ্রিক কর তেমন আসে না। আমাদের বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী অর্থের জোগান দাতা। আমরাও সে কারণে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠায় পলিসিগত সহায়তা দিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক কর আহরণের সংস্কৃতি যত দ্রুত প্রসার হওয়ার কথা ছিল, তত দ্রুত পারিনি। এর কারণ হলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক কর আদায়ের ক্ষেত্রে যে ড্রাইভ দিতে হয়, সেটা অটোমেশন ছাড়া সম্ভব নয়। সে জায়গায় পিছিয়ে আছি। এখন শুরু করেছি। দেখা যাক কি হয়। গ্রাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদের বহুমাত্রিক ব্যবহার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উৎপাদন, ব্যবসায় ও সেবা ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। তারা হলেন– উৎপাদন খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ব্যবসায় খাতের তিন প্রতিষ্ঠান চন্দ্রার ওয়ালটন প্লাজা, ইউনিমার্ট লিমিটেড ও হ্যামকো কর্পোরেশন লিমিটেড এবং সেবা খাতের তিন প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড, ব্র্যাকের আড়ং ও নগদ লিমিটেড।

আরএম/এসএসএইচ