কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিশোধযোগ্য মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১০ লাখ টাকার বা তার বেশি হলেই ই-পেমেন্ট বা ‘এ’ চালানের মাধ্যমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে মূসক নীতি থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এদেশ জারি হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ওই আদেশ বাধ্যতামূলকভাবে মানার নির্দেশনা দিয়েছে ভ্যাট বিভাগ। 

শনিবার (২ ডিসেম্বর) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা সই করা আদেশে বলা হয়েছে, আধুনিক ই-পেমেন্ট বা ‘এ’ চালান পদ্ধতি ব্যবহার করিয়া ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে দ্রুততম সময়ে রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। যার মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা নিশ্চিত হবে। যেহেতু, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করবার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে মূসক জমা প্রদান ও জাল-জালিয়াতি রোধ নিশ্চিত করা সম্ভব; সেকারণে জনস্বার্থে ২০১২ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ও ২০১৬ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালার ক্ষমতাবলে কোনো নির্দিষ্ট কর মেয়াদে কোনো প্রতিষ্ঠানের নীট প্রদেয় মূসকের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব হলে মূসক বা ভ্যাট ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য হবে এবং তা মূল্য সংযোজন কর ই-পেমেন্ট বা ‘এ’ চালান এর মাধ্যমে জমা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হলো।

এর আগে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক আদেশে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর পরিশোধের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট (ই-পেমেন্ট) বাধ্যতামূলক করেছিল এনবিআর। তখনই ঘোষণা করা হয়েছিল ই-পেমেন্টের ভ্যাটের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে এনবিআর পরোক্ষ কর প্রদানে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করে।

আরএম/এমএ