বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, মিশরের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ আছে। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক রপ্তানি মিশরে বাড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমির সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এই কথা জানান।

এসময় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিনা মাকারি উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের মধ্যে আলোচনা হয়। সাক্ষাতকালে উভয়ই মিশরীয় বাজারে কিভাবে আরও বেশি রপ্তানি করা যায় তারা কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিজিএমইএ সভাপতি দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে বিজিএমইএ’র চলমান কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। 

তিনি মিশরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। মিশরের বাজারে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ আছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। 

ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রশংসা করে তিনি বলেন, এতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ভ্রমণ সহজ হবে। আগামীতে ঢাকা-কায়রো ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়বে।

ফারুক হাসান পারস্পরিক সুযোগ সন্ধানের জন্য বাণিজ্যিক প্রদর্শনী এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমির কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি মিশরীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সন্ধানের আহ্বান জানিয়ে আমন্ত্রণ জানান।

এদিকে, মিশরে উৎপাদিত বিভিন্ন রাসায়নিক ও কাঁচামাল বাংলাদেশে সরবরাহের ব্যাপারে মিশরের রাষ্ট্রদূত গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। মিশরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাহমি বাংলাদেশি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে মিশরে কারখানা স্থাপনের এবং সেই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য আহ্বান জানান।

বৈঠকে উভয় পক্ষ বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এবং বিশিষ্ট মিশরীয় ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি তারা পর্যটন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। তারা মিশর থেকে আসা পর্যটকদের বাংলাদেশ সফরে উৎসাহিত করার বিষয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশি পর্যটকদের মিশর ভ্রমণে উৎসাহিত করার বিষয়ে কথা বলেন।

এসআই/এমএ