ডলার সংকটের কারণে দিশেহারা ব্যাংক গুলো। আগের দেনা শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো হঠাৎ করে ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম। ফলে অনেক ব্যাংককে বাধ্য হয়ে ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এমন অবস্থায় ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দর দেওয়া যাবে না।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে বাফেদা চেয়ারম্যান সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম এবং এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।  

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চের পর থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও প্রকট হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় তারা সভা করে ডলারের রেট নির্ধারণ করে আসছে।

সবশেষ ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে প্রণোদনা দিতে পারবে বলে জানানো হয়। তবে বেশিরভাগ ব্যাংক এ দরে ডলার পাচ্ছে না। তাই এখন ১২২ টাকা থেকে ১২৪ পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক। 

এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবিবি ও বাফেদা। বলা হয়, প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দর দেওয়া যাবে না। তবে ডলার বিক্রির রেট অপরিবর্তিত থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১১ টাকায়। এদিকে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলারের দাম ১২৩ টাকা ১২৪ টাকা।

এসআই/কেএ