দেশ, জাতি এবং অর্থনীতির স্বার্থে হরতাল-অবরোধ চান না ব‍্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমরা ব্যবসা করতে চাই, হরতাল-অবরোধ চাই না। হরতাল-অবরোধ হলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে।

বুধবার (০৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২১ প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবল আলম বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই, হরতাল অবরোধ চাই না। সবার কাছে আমরা এই বার্তাটা পৌঁছাতে দিতে চাই।

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৭-১৮ হাজার টাকার গাড়ি ভাড়া এখন ৩২ থেকে ৩৪ হাজার টাকা হয়েছে। এই খরচটি কারখানার ওপর আসছে। কারখানার ওপর মানে একজন উদ্যোক্তার ওপর আসছে। উদ্যোক্তা বাড়তি এই টাকা কোথায় থেকে আনবে? এখন কী নতুন অর্ডার বাড়াতে পারবে, না তা করতে পারবে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমি মনে করি হরতাল-অবরোধ একটা দেশকে-জাতিকে, বিশেষ করে অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়। এখান থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। এ সংস্কৃতি আমরা চাই না।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজদ বলেন, হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। হরতাল-অবরোধের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে সরে আসবে হবে। আগুন-ভাঙচুরের সময় বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে না। তারা নতুন করে অর্ডার দেবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, আগের বছরের তুলনায় বর্তমানে ক্যাপিটাল মেশিনারি ৪০ শতাংশ কম আসছে। কাঁচামাল আসছে ৩০ শতাংশের কম। সুতরাং দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।

এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে একে আজাদ বলেন, কাস্টমস জুলুম করছে এইচএস কোর্স ফাঁদে ফেলছে, এটা অন্যায়। এটা থেকে আমাদের সুরক্ষা দিতে হবে। না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

এমআই/এসএম