আবারও বাজুসের প্রেসিডেন্ট হলেন সায়েম সোবহান আনভীর
দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাজুসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদল চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজুস নির্বাচন বোর্ডের সদস্য এফবিসিসিআই পরিচালক মো. ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জুয়েল এবং এফবিসিসিআই পরিচালক মো. রকিবুল আলম (দীপু)।
বিজ্ঞাপন
সায়েম সোবহান আনভীর ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করায় সারা দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকালে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলামিন কাজল বলেন, বাজুস অফিসের সবার সহযোগিতায় আমরা ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচন শেষ করতে পেরেছি। আশা করছি নতুন কমিটি দেশের জুয়েলারি খাতে যেসব সমস্যা আছে তা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত এ কমিটি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পরিচিতি এবং বাংলাদেশের পণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারবে। জুয়েলারি খাতে যেসব সমস্যা আছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সেসব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত কমিটি করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
নির্বাচিত ৭ জন সহ-সভাপতি হয়েছেন- অলংকার নিকেতন (প্রা.) লিমিটেডের কর্ণধার এম এ হান্নান আজাদ, মেসার্স দি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার গুলজার আহমেদ, দি আমিন জুয়েলার্সের কর্ণধার কাজী নাজনীন ইসলাম, জুয়েলারি হাউজের কর্ণধার মো. রিপনুল হাসান, গোল্ড ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার মাসুদুর রহমান, মেসার্স রিজভী জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, ফেন্সী ডায়মন্ডের কর্ণধার সমিত ঘোষ অপু।
কমিটিতে নির্বাচিত ৯ সহ-সম্পাদক হলেন বায়তুল জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. মজিবর রহমান বেলাল, দি ডায়মন্ড সীর কর্ণধার মো. ইমরান চৌধুরী, মনিমালা জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. তাজুল ইসলাম, গোল্ড কিং জুয়েলার্সের কর্ণধার এনামুল হক ভুঞা লিটন, আফতাব জুয়েলার্সের কর্ণধার উত্তম ঘোষ, মেসার্স আলভী জুয়েলার্সের কর্ণধার মোস্তফা কামাল, জারা গোল্ডের কর্ণধার কাজী নাজনীন হোসেন জারা, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আসলাম খান অপু, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্সের কর্ণধার ফরিদা হোসেন। কমিটিতে কোশাধক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জায়া গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড লিমিটেডের কর্ণধার উত্তম বণিক।
নতুন কমিটির ১৬ জন সদস্য হলেন- ডায়মন্ড হাউজের কর্ণধার ও বাজুসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. দিলীপ কুমার রায়, সিরাজ জুয়েলার্সের কর্ণধার ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, নিউ জেনারেল জুয়েলার্সের কর্ণধার আনোয়ার হোসেন, পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের কর্ণধার পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের কর্ণধার পবন কুমার আগরওয়াল, মেসার্স বৈশাখী জুয়েলার্সের কর্ণধার নারায়ণ চন্দ্র দে, ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিধান মালাকার, রহমান জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. মজিবর রহমান খান, আলনুর জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. ওয়াহিদুজ্জামান, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্সের ম্যানেজিং পার্টনার জয়দেব সাহা, মেসার্স সাজনী জুয়েলার্সের কর্ণধার ইকবাল উদ্দিন, রিয়া জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. ছালাম, গৌরব জুয়েলার্সের কর্ণধার গণেশ দেবনাথ, মেসার্স স্বর্ণালী জুয়েলার্সের কর্ণধার হাজী মো. শামছুল হক ভুঞা, আদর জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং ড্রিমস ইনস্ট্রুমেন্ট টেকনোলজির কর্ণধার মো. আলী হোসেন।
এসআই/এমজে